পলিটেকনিক ডিপ্লোমা রেজাল্ট 2022-ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং রেজাল্ট ২০২২

পলিটেকনিক ইন্সিটিউটের ডিপ্লোমা রেজাল্ট ২০১৯ প্রকাশিত হয়েছে। দেখে নিন বিস্তারিত অবশেষে প্রকাশিত হল বহুল প্রতীক্ষিত দেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা রেজাল্ট ২০১৯ এবং ডিপ্লোমা ইন ট্যুরিজম রেজাল্ট ২০১৯। ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে জানুয়ারী ২০১৯, অনুষ্ঠিত হয় দেশের সকল সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সেমিস্টার ফাইনাল … Read more

অবসর সময় কাটানোর সেরা ৫ টি উপায় – বদলে যাবে আপনার ভবিষ্যৎ চিন্তাধারা

অবসর সময় কাটানোর অসাধারণ কিছু উপায়- কাজগুলো আপনার ভবিষ্যৎ বদলে দেবে। নাই কাজ তো খই ভাজ এই কথাটা আগে আমরা অনেক শুনতাম। কিন্তু এখন আমাদের কারও খই ভাজা নিয়ে মাথা নষ্ট করার মত সময় নাই। কারণ প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের অবসর বা ছুটির সময় কাজের কোন অভাব নাই। এই ধরুন সারা দিন মোবাইলে কথা বলা, … Read more

পরীক্ষা শেষে অবসরে কি করবেন – দেখে নিন আইডিয়া গুলো

পরীক্ষা শেষে অবসর সময় কাটানোর কিছু চমৎকার আইডিয়া জেনে নিন।



বছর জুড়ে একটানা পড়ালেখা এবং তারপর প্রচণ্ড মানুষিক ও শারীরিক পরিশ্রমের সেমিস্টার বা ইয়ার ফাইনাল বা এসএসসি / এইসএসসি বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষা। সারা বছর যারা দিন রাত এক করে সারাক্ষণ পড়ালেখা নিয়েই ব্যস্ত ছিল, তাদের জন্যও পরীক্ষার দিনগুলো জীবনের কঠিনতম দিন। আর যারা পড়ালেখা ভালোবাসে কিন্তু পড়ালেখার ফাকে ফাকে জীবনটাকে উপভোগ করতে একটু বেশিই ভালোবাসে বা ক্লাসের মাঝের থেকে পিছনের বেঞ্চের স্টুডেন্ট, তাদের জন্য পরীক্ষা মানে জীবনের ভয়ংকরতম সময়। পরীক্ষা চলাকালীন সময় আপনি যেমনই পরীক্ষা দিন না কেন সারাক্ষণ আপনার মনে হতে থাকে, ইসসস- কবে যে পরিক্ষা শেষ হবে?? কবে থেকে শুধু খাবো, ঘুরবো, টিভি দেখবো আর ঘুমাবো

তারপর পরীক্ষাটা যখন ভালোয় ভালোয় শেষ হয়ে যায় তখন সত্যি সত্যিই আমরা অনেকেই শুধু খাই, বা ঘুরি ফিরি, টিভি দেখি আর ঘুমাই। কারণ এখন আর সেই কষ্টের রুটিন পড়ালেখা, কোচিং , টিচার , এসাইনমেন্ট নাই। নিজেকে স্বাধীন আর মুক্ত বাতাসে ডানা মেলে উড়া সাদা গাংচিল মনে হয়। তবে ছুটি যদি লম্বা হয় তাহলে আমরা রিফ্রেশমেন্ট এর সাথে সাথে কিছু ভাল আর শিক্ষণীয় কাজ ও করতে পারি। তো চলুন দেখে নেই এই খাই-দাই আর টিভি দেখার বাইরে আমরা আর কি কি করে আমাদের এই ছুটিটা স্মরণীয় করে রাখতে পারি। আর নিজেকে এই ৪ টি প্রশ্ন করুন যার ভিতরে লুকিয়ে আছে আপনার এই বছরের সফলতা।

এছাড়া এখান থেকে পড়ে নিতে পারেন অবসর সময় কাজে লাগানোর সেরা ৫ টি উপায় – কাজগুলো আপনার ভবিষ্যৎ বদলে দেবে।

বিশ্রাম নিন সবকিছুর আগে আর ধন্যবাদ জানান আপনার সৃষ্টিকর্তাকেঃ

আমাদের পৃথিবীটা এখন হয়ে গেছে ননস্টপ বিশ্রাম ছাড়া দুনিয়া। সারা দিন রাত দোকান পাট খোলা থাকে, সারারাত টিভি,কম্পিউটার বা মোবাইল চলে, প্রযুক্তি আমাদের জাগিয়ে রাখে। অথবা টানা পড়াশুনা আমাদের জেগে থাকতে বাধ্য করে। তাই পরীক্ষা শেষ হবার পর আপনার প্রথম কাজ হবে একটা দিন বের করা যে দিন হবে “প্রযুক্তি ছাড়া দিন” বা “শপিং ছাড়া দিন” অথবা “সবকিছু ছাড়া দিন” যেদিন আপনি পুরো থেমে যাবেন।ঘুম দিন লম্বা একটা, বিশ্রাম দিন শরীরের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে।তারপর সবকিছু থেকে আলাদা হয়ে নিজের ধর্ম গ্রন্থ নিয়ে বসে পড়ুন কিছুক্ষণ। আর ঐ মহান সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিন যে আপনাকে পরীক্ষার কষ্ট থেকে তিনি উদ্ধার করেছেন।

অযথা ভাববেন না পরীক্ষা কেমন হল আর রেজাল্ট কি হবে?

ইসস, পরীক্ষার আগে যদি আরও বেশি বেশি পড়তে পারতাম তাহলে পরীক্ষা টা হয়তো আর একটু ভাল হতো, রেজাল্ট যে কি হবে কে জানে ! এই কথা গুলো আপনার মাথায় ঘুরছে তাই না। যদি ঘুরে তাহলে ঝেড়ে ফেলুন এই ভাবনা চিন্তা গুলো। এগুলো কিছুতেই আপনার লেখা, পরীক্ষার খাতায় কোন পরিবর্তন আনতে পারবে না। বন্ধু বান্ধব মিলে বা নিজে নিজে বাসায় বসে  কেউ কেউ বইপত্র নিয়ে পরীক্ষার ব্যবচ্ছেদ করতে থাকেন। তাতে কি আপনার পরীক্ষার ফলাফল পাল্টে যাবে?

কেউ কেউ হয়তো সহজ ভাবে চিন্তা করে পরীক্ষার ফলাফল যা হয় হবে, কিন্তু অন্যরা? আপনাকে যদি বলা হয় পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না। সেক্ষেত্রে হয়তো উদ্বিগ্ন না হওয়া আর নিঃশ্বাস বন্ধ করে ফেলা একই কথা হবে আপনার জন্য। তাই উদ্বিগ্ন না হওয়ায় সবথেকে সহজ উপায় হচ্ছেঃ আপনার আমার সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভবিষ্যৎ তার নিজের হাতেই গড়েছেন। তাই আপনি চাইলেও সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলতে পারতেন না। আর এটা তো আমরা সবাই জানি সৃষ্টিকর্তা যা করেন তা ভালোর জন্যই করেন। তাই ঝেড়ে ফেলুন সব চিন্তা আর দেখুন কি কি করবেন পরীক্ষার পরের এই ছুটিতে

গুছায়ে রাখুন বই খাতা সহ দরকারি কাগজ পত্র

গুছায়ে বা বস্তা বন্দী করে রাখুন আপনার সকল বই খাতা শিট বা যে কোন দরকারি কাগজপত্র। তাদেরকে নিয়ে অনেক নির্ঘুম রাত কাটানো হয়েছে। এখন আর তাদের নিয়ে ভাবাভাবির কিছু নাই। ক্লাসের পড়াকে কিছুদিনের জন্য ছুটি জানানোর সময় এখন। তাই বলে নষ্ট করে বা ছুড়ে ফেলে দেবেন না বই খাতা। কে জানে আবার কোনটা কখন কাজে লেগে যেতে পারে।

আনন্দ নিয়ে পড়া শুরু করুন যে কোন বই আর লিখতে পারলে লিখুন

এখানে আমি পরামর্শ দেবো আপনি ঠিক কোন ধরনের লেখা পছন্দ করেন, আর হ্যা আমি কোন ক্লাসের বইয়ের কথা বলছি না। সত্যি বলছি, শেষ কবে আপনি আপনার প্রিয় কোন বই বা লেখা নিয়ে বসেছিলেন মনে আছে? তাই পছন্দের বই টি নিয়ে বসে পড়ুন আর বইয়ের মাঝে ডুব দিন। আপনি বইয়ের পাতার সাথে আপনার পছন্দের জগতে চলে যাবেন।

তাই বেছে নিন আপনার পছন্দের বই, কমিক্স, ম্যাগাজিন অথবা পত্রিকা তাহলে আপনি আপনার পড়াটা উপভোগ করতে পারবেন। আর পড়া যদি আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে এখনই সেরা সময় আপনার পছন্দের বইগুলো পড়ে শেষ করে ফেলার।

আর আপনি যদি লিখতে পছন্দ করেন তাহলে এই ছুটির সময়ে লেখা শুরু করে দিন সেই লেখাগুলো, যেগুলো আপনার মাথায় উকি ঝুঁকি মারছে অনেক দিন থেকে যা হতে পারে কোন বাস্তব কাহিনী অথবা কল্প কাহিনী ।

সিনেমা দেখুন এবং গান শুনুন

আপনার পরীক্ষার আগে বা পরীক্ষা চলাকালীন সময় কত কত নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে আপনি জানেন? অথবা আপনি যে টিভি সিরিজ পছন্দ করেন তার কতোগুলো পর্ব মিস করে ফেলেছেন? দুঃখিত হবার কিছুই নাই। টরেন্ট বা এফটিপি সার্ভার থেকে ডাউনলোড করে নিন অথবা ইউটিউবে দেখে ফেলুন। আর সময় করে বন্ধু বান্ধব অথবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে দেখে আসুন প্রিয় কোন সিনেমা। আর গানের কথা না লিখলেও আপনি হয়তো শুনতে ভুল করবেন না। শুনতে থাকুন পছন্দের সব প্রিয় গান প্রান ভরে।

শখের বা সৃজনশীল কিছু শিখুন

আপনার যদি কোন পছন্দের কাজ থাকে যেমন গান গাওয়া, গিটার বাজানো, ছবি আঁকা, ফটোগ্রাফি, গাড়ি চালানো অথবা পাহাড়ে ওঠা । তাহলে এই লম্বা ছুটি হতে পারে আপনার পছন্দের কাজ সেখার সেরা সময়। পরীক্ষার পরের এই সময়ে আপনি যে কোন একটা বাদ্যযন্ত্র বাজানো যেমন গিটার, পিয়ানো শিখে ফেলতে পারেন অথবা শিখুন সাঁতার, স্কেটিং বা ফটোগ্রাফি সহ যে কোন পছন্দের কিছু। কয়েক দিন পর আপনার ভেতরে জমানো প্রতিভা দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

পরিবারের সাথে সুন্দর সময় কাটান

এই পৃথিবীতে আপনাকে সব থেকে বেশি কে বা কারা ভালোবাসে? নিশ্চয় আপনার বাবা মা ভাই বোন, আপনার পরিবার। আবার ঠিক একই ভাবে আপনার ভালোবাসা সব থেকে বেশি জমানো তাদের জন্য। তাহলে আর দেরি কেন, যদি পরিবারের সাথে থেকেই এতদিন পড়ালেখা করে থাকেন তাহলে এই অবসর সময়ে পরিবারের সবাই কে আর একটু বেশি সময় দিন। আর যদি পরিবার থেকে দূরে থেকে পড়ালেখা করে থাকেন তবে এক্ষুনি ব্যাগ গুছায়ে বাড়ির পথে পা বাড়ান। সবাই নিশ্চয় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। বাড়িতে গিয়ে সাহায্য করুন বাবার বাইরের কাজে আর মায়ের ঘরের কাজে। আর ভাই বোন অথবা পরিবারের অন্য সবাই কে নিয়ে ভালোবাসা আর আনন্দে মেতে থাকুন সারাক্ষণ।

বাসায় পার্টি করুন

পরিবারের সম্মতি নিয়ে বাসায় করে ফেলুন ক্লান্তিহর একটা অনুষ্ঠান। যাতে দাওয়াত দিন আপনার সহপাঠী এবং বন্ধুদের। সবাইকে নিয়ে গান শুনুন, খেলাধুলা করুন, হইচই করুন দিন রাত এক করে আর বাড়িতে বানানো খাবার দিয়ে আপ্যয়ন, সে তো আছেই। দেখুন পরীক্ষার কষ্ট দূর হয়ে যাবে সবার মাথা থেকে।

পুরানো বন্ধুদের সাথে দেখা করুন আর নতুন বন্ধুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন

একটা মোবাইল অপারেটর এর টিভি বিজ্ঞাপনে প্রায়ই দেখে থাকবেন বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল, কি ভাবছেন কথাটা মিথ্যা? মনে হয় না। আসলে বন্ধু ছাড়া আপনার লাইফটা যে পানসে হয়ে যাবে আপনি নিশ্চয় কখনো সেটা চিন্তাও করেননি। তাই এই ছুটিতে খুজে বের করুন আপনার পূরানো দিনের বন্ধুদের। সময় কাটান হইচই করে অথবা ভাল কোন কাজের পরিকল্পনা করে। আর হ্যা শুধু পুরাতন বা বাল্যকালের বন্ধুদের নিয়ে থাকবেন না। আপনার নতুন বন্ধুদের ও সময় দিতে ভুলবেন না।

ঘুরে আসুন আপনার আশে পাশের অদেখা জায়গা গুলো থেকে 

আপনার নিজের শহরে নিশ্চয় এমন কিছু অদেখা জায়গা আছে যে গুলোর কথা হয়তো আপনি অনেকের মুখে শুনেছেন কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি সময়ের অভাবে। তাহলে এই অনাবিষ্কৃত বা অদেখা স্থানগুলো থাকতে পারে আপনার পরীক্ষার পরে অবসর সময়ের ভ্রমন তালিকায়। আপনি হয়তো চিন্তাও করেননি কখনো এই ভ্রমন আপনার সামনে উন্মেচন করবে নতুন দুয়ার।

নিয়মিত ব্যায়াম অথবা ইয়োগা করুন আর সুস্থ সবল থাকুন

সাইক্লিং করুন, সাঁতার কাটুন, জিমে যান অথবা ইয়োগা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম অথবা ইয়োগা এই ছুটিতে আপনাকে সুস্থ সবল আর ফিট থাকতে সাহায্য করবে। আর সব থেকে বড় কথা আপনি মানসিক ভাবে প্রশান্তিতে থাকবেন। আর সময় বের করে চলে যান আসে পাশের সবুজ প্রকৃতির কাছে। তাহলে দেখবেন আপনার মন দ্রুত প্রফুল্ল হবে, দেহ মনে সতেজতা ফিরে আসবে। দুশ্চিন্তা গুলো পালিয়ে কই যে চলে যাবে।

কোন স্বেচ্ছাসেবক বা এনজিওর সাথে যোগ দিন

ছুটির সময়টা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করার বা এনজিও সাথে কাজ করার শ্রেষ্ঠ সময়। অনেকের হয়তো ইচ্ছা থাকার পরও ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করার আশা পূর্ণ হয় না। তাই আশে পাশে তাকিয়ে দেখুন আর দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অথবা স্বেচ্ছা শ্রমের যে কোন সামাজিক কাজে যোগ দিন। দেখবেন সারা জীবন বই পড়ে আপনি যা শিখতে পারেন নি সেই সকল বিষয় জানতে পারবেন এই সময়ে।

খেয়াল রাখুন আপনার পুরো ছুটির সময় টা যেন শুধু টিভি দেখে আথবা নিজের কম্পিউটারের সামনে বসে শেষ না হয়

এটা সবথেকে বেশি জরুরি যে আপনার এই ছুটিটাই হয়তো আপনার পরিণত বয়সের আগের পাওয়া এতো লম্বা কিন্তু শেষ ছুটি। কৈশোর আর যৌবনের মাঝের দুরন্ত সময়ে কাটানো ছুটি। যখন আপনার জীবনে নেই কোন টাকা উপার্জনের বা সংসার সামলানোর চাপ, নেই কোন মানসিক উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা। তাই এটা নিশ্চিত করুন যে এই ছুটিতে আপনি আপনার জীবনে মনে রাখার মত কিছু করবেন। বন্ধু বা পরিবারের সাথে বের হন, খেলাধুলা করুন, সময়টা উপভোগ করুন। কম্পিউটারে বা হাতের স্মার্টফোনে গেম খেলা, মুভি দেখা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটানো অথবা বোকা বাক্স টিভি দেখার সময় জীবনে অনেক আসবে।

 

পরীক্ষা শেষে অবসরে কি করবেন

কলেজ বা ভার্সিটিতে পড়ছেন অথবা গ্রাজুয়েশন শেষ? তাহলে নিচের লেখা গুলো আপনার জন্য

Read more